কী খাব, কীভাবে সংসার চালাব? কিভাবে পড়ালেখা করাব ওদের?

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত টেকনাফ পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম তার স্কুল পড়ুয়া দুই কিশোরী মেয়ে তাহিয়া হক ও নাহিয়ান হককে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা টেকনাফ ছেড়ে চট্টগ্রাম চলে এসেছেন।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায় একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম জানান, দুই মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রামে মায়ের ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন। বাবাকে হারানোর পর এখনও স্বাভাবিক হতে পারেনি তাদের অষ্টম শ্রেণি ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই মেয়ে। মুছেনি তাদের চোখের পানি। বাবার জন্য কাঁদতে কাঁদতে এখন তারা শয্যাশায়ী। টেকনাফে ঘরে দুই মেয়ে আর আমি ছাড়া ঘরে আর কেউ নেই। নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা মেয়েদের নিয়ে চট্টগ্রামে এসে লুকিয়ে আছি।

তিনি বলেন, মেয়ে দুটো সারাক্ষণ বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে, ক্ষণে ক্ষণে মূর্ছা যাচ্ছে, কী করব ভেবে পাচ্ছি না। দুই মেয়ের লেখাপড়ার কী হবে? কীভাবে সংসার চালাব?

কান্নায় ভেঙে পড়ে আয়েশা বেগম বলেন, আমি কি করবো বা আমার কি করা উচিত, আমি বুঝতে পারছি না? কমিশনার (একরাম) তো যাওয়ার সময় আমাকে একটি টাকাও দিয়ে যাননি। আমি আমার দুই কন্যা নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব? কী খাব, কিভাবে পড়ালেখা করাব ওদের?

একরামের দুই মেয়ে তাহিয়াত হক ও নাহিয়ান হক টেকনাফ বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুলের অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। তাহিয়াত জানায়, ‘বাবা সব সময় আমাদের মোটরসাইকেলে তুলে স্কুলে নিয়ে যেতেন, তখন তাঁর শরীর থেকে সুগন্ধ নাকে আসত। বাবা তো বেঁচে নেই, এখন কে আমাদের স্কুলে নিয়ে যাবে? সুগন্ধটা কোথায় পাব?’।

আয়েশা বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কে অবৈধভাবে জায়গা জবরদখলের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলেন কাউন্সিলর। এ ঘটনাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে প্রভাবশালীরা তার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করে।